গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, শীতে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জের মানুষ
গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সেইসঙ্গে হিমেল হাওয়া। রয়েছে ঘন কুয়াশা। এসব কারণে শীতের তীব্রতা বেড়েছে উত্তর জনপথের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ জেলায়। হাড়কাপানো শীতে বিপর্যস্ত সিরাজগঞ্জের মানুষ। এতে বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও যমুনা চরের মানুষ।
গতকাল শনিবার মধ্য রাত থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির কারণে রাতের তাপমাত্রা কমে ঘন কুয়াশায় ছেয়ে যায় জেলা শহর। বেলা গড়ালেও দেখা মিলছে না সূর্যের।
সকালেও রাস্তায় হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন। খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা অনেকের। ঘন কুয়াশার কারণে বোরো ধানের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
শীতের তীব্রতার কারণে কর্মজীবী, শ্রমজীবী ও নিম্নআয়ের মানুষগুলোর দুর্ভোগ বেড়েছে। শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগবালাই।
এতে বেশিরভাগ আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধ। স্বাভাবিকের চেয়ে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে। ঘন কুয়াশার কারণে যমুনা নদী দিয়ে কার্গো জাহাজ ও নৌ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স কাউসার জাহান বলেন, হাসপাতালে শীতজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শিশুরা নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, শ্বাসনালী ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছে।
প্রতিদিনই শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে বর্তমানে ডায়রিয়া ওয়ার্ড ও শিশু ওয়ার্ডে বেডের বিপরীতে রোগীর সংখ্যা তিন গুণ বেশি হওয়ায় হাসপাতালের মেঝেতে বিছানা বিছিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. ফয়সাল আহমেদ বলেন, শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে অন্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে হাসপাতালে ঠাণ্ডাজনিত শিশু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে রোগী ভর্তির পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর চিকিৎসার জন্য যথাযথ খেয়াল রেখে চিকিৎসক ও সেবিকারা রোগীদের যত্ন সহকারে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।