গাজীপুরে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় দুই পোশাককর্মী নিহত
গাজীপুর সদর উপজেলায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় দুই নারী পোশাককর্মী নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো এক পোশাককর্মী। আজ শনিবার সকাল সোয়া ৮টার দিকে উপজেলার ভবানীপুর এলাকার জেসন কারখানার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত পোশাককর্মীরা হলেন টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার পীরগাছা এলাকার সুনীল চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী সান্ত্বনা রানী বর্মণ (৩০) ও গাজীপুর সদর উপজেলার ভবানীপুর পিঙ্গাইল এলাকার রেখা রানী বর্মণ (৩০)। আহত পোশাককর্মীর নাম মায়া রানী বর্মণ (৩২)। তিনি ভবানীপুর পিঙ্গাইল এলাকার শ্রীধাম চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী। তাঁরা সবাই ভবানীপুর এলাকার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার কর্মী ছিলেন।
নাওজোর হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদুজ্জামান ও স্থানীয়রা জানান, ভবানীপুর এলাকার পলমল গ্রুপের পোশাক কারখানার তিন নারী শ্রমিক সান্ত্বনা রানী বর্মণ, রেখা রানী বর্মণ ও মায়া রানী বর্মণ আজ সকালে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন। তাঁরা সকাল সোয়া ৮টার দিকে ভবানীপুর এলাকার জেসন কারখানার সামনে পৌঁছালে ময়মনসিংহ থেকে বেপরোয়া গতিতে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই নারী শ্রমিককে সজোরে ধাক্কা ও চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সান্ত্বনা রানী বর্মণ। এ ছাড়া রেখা রানী বর্মণ ও মায়া রানী বর্মণ গুরুতর আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় রেখা রানী বর্মণের। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য মায়া রানীকে ওই হাসপাতাল থেকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) পাঠানো হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। এর মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে প্রাইভেটকারটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে যায়।
শহীদ আহসানউল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. তারিক মাহমুদ জানান, রেখা রানী বর্মণকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। গুরুতর আহত মায়া রানী বর্মণকে এ হাসপাতাল থেকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় তাঁর দুটি পা ভেঙে গেছে এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত রয়েছে।