গাজীপুরে ক্লাস নেওয়ায় তিন স্কুলকে জরিমানা, এক পরিচালকের কারাদণ্ড
গাজীপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে স্কুলে ক্লাস ও পরীক্ষার নেওয়ার অভিযোগে তিনটি বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষককে অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময়ে এক স্কুলের পরিচালককে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ শনিবার গাজীপুর জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া পারভেজ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলাম জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী এলাকার কয়েকটি বেসরকারি স্কুল বেশ কিছুদিন ধরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। আজ সকালে স্থানীয় পেয়ারা বাগান এলাকার জরুন ন্যাশনাল স্কুলে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ সংবাদ পেয়ে গাজীপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া পারভেজ ওই স্কুলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা পান। এ সময় স্কুল কর্তৃপক্ষ আদালতের কাছে তাদের অপরাধ স্বীকার করে। পরে আদালত স্কুলের পরিচালক শহিদুল ইসলামকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তাঁর স্ত্রী স্কুলের প্রধান শিক্ষক দুলালী বেগমকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
করোনার ভয়াবহতা জেনেও সরকারি নির্দেশ অমান্য করে শিশুদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলার দায়ে তাদের এ দণ্ড দেওয়া হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া পারভেজ।
এ ছাড়া আদালত একই অপরাধে কোনাবাড়ীর হরিণাচালা এলাকার ‘অরবিট এডু কেয়ার’ স্কুলের পরিচালক ও প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা এবং এসরার নগর এলাকার অক্সফোর্ড মডেল স্কুলের শিক্ষক রবিন হোসেনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ সময় আদালত স্কুল কর্তৃপক্ষকে পরবর্তী সময়ে এ ধরনের অপরাধ না করার জন্য সতর্ক করেন।
এদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে টাঙ্গাইল থেকে পরিচালিত কোনাবাড়ী শাখার শাহীন স্কুলে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান স্কুলের শিক্ষকরা। অভিযানকালে ব্যাটালিয়ন আনসার ও পুলিশ সদস্যরা সহযোগিতা করেন।