গাজীপুরে আ.লীগ কর্মীর কান কর্তন
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের এক কর্মীর কান কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা ওই ব্যক্তির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনসেট কেড়ে নেয়। সেইসঙ্গে একটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে ছেড়ে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে।
আহত ওই আওয়ামী লীগকর্মীর নাম রিয়াজ উদ্দিন প্রধান (৫৫)। তিনি শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের গলদাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আহত রিয়াজ উদ্দিনের স্বজনরা জানায়, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শ্রীপুরের বারতোপা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগকর্মী রিয়াজ উদ্দিন প্রধান। পথে গলদাপাড়া এলাকার মিশিধার খালের কাঠের সেতু পার হওয়ার পর স্থানীয় রুবেল নামের এক ব্যক্তি তাঁকে ডেকে পাশে নেন। কিছুক্ষণ পর রুবেলের ছোট ভাই লালুসহ আরো ছয় থেকে সাতজন সন্ত্রাসী তাঁকে ঘিরে ধরে। তারা গামছা দিয়ে তাঁর চোখ-মুখ বেঁধে পাশের লালুর বাড়িতে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখে। তারা রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোনসেট ছিনিয়ে নেয়। পরে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে রিয়াজের বাম কান কেটে ফেলে। এ সময় হত্যার হুমকি দিয়ে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। ওই সময় তারা গরুসহ একটি রশি রিয়াজের হাতে ধরিয়ে মোবাইল ফোনে ছবি তোলে। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে আহত রিয়াজকে তাড়িয়ে দেয়। তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে দৌড়ে পাশের ফুপাতো ভাই আবুল কাসেম প্রধানের বাড়িতে আশ্রয় নেন রিয়াজ। স্বজনরা আহত রিয়াজকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করে।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, ‘রিয়াজ উদ্দিনের বাম কানে তিনটি সেলাই দিতে হয়েছে। সেলাইয়ের পর প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি আজ দুপুরে বাসায় চলে গেছেন।’
তবে শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, লালুদের সঙ্গে পূর্ব শত্রুতার জেরে সোমবার রাতে লালু-রিয়াজ উদ্দিনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। এ সময় রিয়াজসহ উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী জানান, ওই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্ত লালুর বিরুদ্ধে এর আগে ডাকাতি ও মাদকের চারটি মামলা রয়েছে। পুলিশ লালুকে আটক করেছে।