খুলনায় বাবাসহ পুলিশ কনস্টেবল করোনা আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি
খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) লাইনের এক কনস্টেবল ও তাঁর বাবাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের করোনাভাইরাস আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে তাঁদের ভর্তি করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, রাতে ওই পুলিশ সদস্যকে তাঁর বাবা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পুলিশ সদস্যের জ্বর, মাথা ব্যথা, সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা রয়েছে। প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাঁকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়। তিনি এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হওয়া প্রথম ব্যক্তি।
ডা. এ টি এম মঞ্জুর মোর্শেদ আরো জানান, পুত্রকে এ অবস্থায় মাগুরা থেকে বহন করে নিয়ে আসা ও সেখানে চিকিৎসাসহ সেবা দেওয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কারণে বাবাকেও তাৎক্ষণিক করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। আজ তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হবে। তারা মাগুরা জেলার কাপাশাটি গ্রামের বাসিন্দা।
কেএমপির সিটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার রাশিদা বেগম বলেন, ওই পুলিশ সদস্য ছুটি শেষে গতকাল মাগুরা থেকে খুলনায় আসে। তাঁর শারীরিক সমস্যার কারণে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা প্রাথমিক লক্ষণ দেখে করোনা সন্দেহ করেন। এ কারণে তাঁকে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। সঙ্গে তাঁর বাবাকে সতর্কতামূলকভাবে সেখানে ভর্তি রাখা হয়েছে।
তবে ঢাকা থেকে পরীক্ষার পর তাঁদের করোনাভাইরাসের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে খুলনা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন। তিনি জানান, পুলিশ কনস্টেবলের করোনাভাইরাসের প্রাথমিক সব উপসর্গ রয়েছে, তবে তাঁর বিদেশ কানেকশন নেই।