খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টে, বৃহস্পতিবার শুনানি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার প্রতিবেদন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ে পৌঁছেছে।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিএসএমএমইউ থেকে সুপ্রিম কোর্টে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য প্রতিবেদন মেডিক্যাল রিপোর্ট পৌঁছে। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন থেকে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।
স্বাস্থ্য প্রতিবেদনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কোনো কথা বলব না। আপনারা সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। যা বলার তিনিই বলবেন।’
পরে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমানের কক্ষে গেলে সেখানে তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁকে ফোন দিলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে ফোন কেটে দেন।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে আপিল বিভাগে এ রিপোর্ট উপস্থাপন করা হবে।
ছয় সদস্যের চিকিৎসকের মেডিক্যাল বোর্ড খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানিয়েছেন ও সুপারিশ করছেন এই প্রতিবেদনে।
এর আগে আপিল বিভাগে আটটি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। সিসি ক্যামেরা স্থাপন নিয়েও মুখ বন্ধ রেখেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
এদিকে আজ বুধবার বিকেল ৫টার জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের আশপাশের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। পরে সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. বদরুল আলম ভূঁইয়াকে নিয়ে প্রধান বিচারপতি নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।
গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানতে মেডিক্যাল বোর্ডের প্রতিবেদন চান সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে তা আদালতে আসার কথা ছিল।
তবে নির্ধারিত দিনে সেটি আদালতে না আসায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর ধার্য করা হয় এবং ১১ ডিসেম্বরের মধ্যে খালেদার শারীরিক অবস্থার রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়।
জামিন শুনানি পিছিয়ে দেওয়ার কারণে ৫ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে ব্যাপক হট্টগোল করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।