খালেদা জিয়াকে ‘মাইনাস’ করার জন্যই কি বিদেশে নেওয়ার আবেদন, তথ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। কিন্তু এরপরও তাঁকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন যেমন বোধগম্য নয়, রাজনৈতিক কোনো উদ্দেশ্য রয়েছে। তেমনি বিএনপির যে নেতৃবৃন্দ খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার আবেদন করছে, এর পেছনে তাদের কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না, সেটিও একটি জিজ্ঞাস্য বিষয়।
গতকাল রোববার দুপুরে ঢাকায় মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্ন ‘খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে মাইনাস করার জন্যই বিএনপি বিদেশে নেওয়ার আবেদন করেছে কি না—এর জবাবে হাছান মাহমুদ একথা বলেন।
‘বিএনপির মধ্যে তো নানা ধরনের অন্তঃকোন্দল আছেই’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেগুলো পত্রপত্রিকায় দেখি, বিএনপির মধ্যে চেয়ারম্যানের লোক, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের লোক, আবার এরমধ্যেও নানা ধারা-উপধারা আছে এবং এগুলোর বহিঃপ্রকাশ আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি। তাদের অন্তঃকলহে বিভিন্ন সভা-সমিতি নিজেদের মারামারিতেই পণ্ড হয়ে যায়।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আবার আমরা পত্রপত্রিকায় দেখতে পাই, একেক নেতা একেক ধরনের কথা বলেন। সুতরাং বিএনপির যেসব নেতৃবৃন্দ তাকে বিদেশ পাঠাতে বলছে, সেটির মধ্যেও কোনো দুরভিসন্ধি আছে কি না, সেটিও একটি জিজ্ঞাস্য বিষয়।’
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আগে অনলাইনে যুক্ত হয়ে সায়েদাবাদের আর কে চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গণে করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের পক্ষ থেকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রী।
স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদত হোসেন টয়েলের তত্ত্বাবধানে আওয়ামী লীগের নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, এম এ করিম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবদুল গণিসহ অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে প্রায় পাঁচশত পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।