বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে সার্জিক্যাল আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়েছে। তিনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, ‘ম্যাডামকে (খালেদা) সোমবার রাতে একটি কেবিনে স্থানান্তর করা হয় এবং তিনি ভালো আছেন। সকালে তাঁকে তরল খাবার দেওয়া হয়েছে।’

সোমবার ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, খালেদা জিয়ার শরীরের একটি অংশে ছোট লাম্প থাকায় বায়োপসি করানো হয়েছে। লাম্পের উৎপত্তির ধরন শনাক্ত করতে বায়োপসি করা হয়েছে। বায়োপসি করার পর তাঁকে সার্জিক্যাল আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বায়োপসি রিপোর্ট কবে পাওয়া যাবে জানতে চাইলে ডা. জাহিদ বলেন, বায়োপসির ফলাফল পেতে ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় লাগতে পারে। খালেদা জিয়া দ্রুত আরোগ্যের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন বলে তিনি জানান।

জ্বর ও অন্যান্য কিছু স্বাস্থ্য জটিলতায় গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে দ্বিতীয়বারের মতো এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এর আগে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন। তাঁর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তিনি রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, চোখ ও দাঁতের সমস্যায় ভুগছেন।

উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে তাঁর পরিবার এই বছরের মে ও আগস্ট মাসে দুবার সরকারের কাছে আবেদন করলেও সরকার তা প্রত্যাখ্যান করে।

এর আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে গত ২৭ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। করোনা পরবর্তী জটিলতা এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার জন্য ১৯ জুন পর্যন্ত সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।