খাগড়াছড়িতে তরুণীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি দুদিনের রিমান্ডে
খাগড়াছড়িতে আলোচিত ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. আমিন ওরফে নুরুল আমিনের দুই মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ঘটনায় পৃথক দুই মামলায় সাত দিন করে ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেঁজুতি জান্নাতের আদালতে দীর্ঘ শুনানি হয়। এরপর দুই মামলায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
খাগড়াছড়ি সদর থানার পরিদর্শক ( তদন্ত) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. গোলাম আপছার রিমান্ড মঞ্জুরের কথা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, মাদক ও চাঁদাবাজিসহ সাতটি মামলা রয়েছে।’
এদিকে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম উইমেন্স রিসোর্স নেটওয়াক ও নাগরিক সমাজ।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি জেলার বলপাইয়া আদাম এলাকায় বিন্দু লাল চাকমার বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। নয় সদস্যের ডাকাতদলের সদস্যরা নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসেট লুট করে। পাশাপাশি একটি কক্ষে নিয়ে তাঁর বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে (২৬) বেঁধে রেখে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেলে নয় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে আসামি করে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন এবং ডাকাতির ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা করেন। পুলিশ মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আসামিদের চিহ্ণিত করে চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সাত আসামিকে গ্রেপ্তার ও ডাকাতির মালামালসহ একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা জব্দ করে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোরশেদুল আলম, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সামিউল আলম ও সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী রিয়াদের আদালতে ছয় আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। মামলার প্রধান আসামি মো. আমিন ওরফে নুরুল আমিন জবানবন্দি দিতে অস্বীকৃতি জানান।