কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের ধাওয়া, গোলাগুলি
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের মধ্যে বিবদমান দ্বন্দ্বের জের ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়াও হয়েছে। এই ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হড়ান্নাগো বাড়ির সামনের সড়কে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুল হকের ছেলে সবুজ (৪০), নূর আহম্মদের ছেলে জিসান (২৩), মো. সানি (২৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭), চরকাঁকড়া ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার মোশারফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫)। গুলিবিদ্ধ আরেকজনের নাম জানা যায়নি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সন্ধ্যা থেকে কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে ও বসুরহাট পৌরসভার প্রত্যেক ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা তাঁর পক্ষে মিছিল করেন। বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা সন্ধ্যা ৭টার দিকে মিছিল করতে গেলে প্রথমে দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গোলাগুলিতে কাদের মির্জার অনুসারী ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়। প্রতিপক্ষ বাদল অনুসারী কারো আহত হওয়ার খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছয়জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধরা কাদের মির্জার অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ওসি আরও জানান, গুলিবিদ্ধ পাঁচজন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।