কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বৈশ্বিক রোডম্যাপ চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার কোভিড -১৯ সংকট মোকাবিলায় সুসমন্বিত বৈশ্বিক রোডম্যাপ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং জাতিসংঘকে এ ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ সংকট মোকাবিলায় আমাদের সুসমন্বিত বৈশ্বিক রোডম্যাপ প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ২০২০ এজেন্ডা, প্যারিস চুক্তি, আদ্দিস আবাবা অ্যাকশন এজেন্ডা এই সংকট কাটিয়ে ওঠার নীলনকশা হতে পারে। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘকে অব্যাহতভাবে কার্যকর ভূমিকা রেখে যেতে হবে।’
জাতিসংঘের সদর দপ্তরের অনুষ্ঠিত ‘হাই লেভেল অন ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপম্যান্ট ইন দি ইরা অব কোভিড-১৯ অ্যান্ড বিয়োন্ড’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের এক অনুষ্ঠানে ধারণকৃত বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু মাইকেল হলনেস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৈঠকটি ডাকেন।
এ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু মাইকেল হলনেস ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস যোগ দেন।
শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ সংকটের মোকাবিলা করতে আরো উন্নত সমন্বিত রোডম্যাপ তৈরি করার জন্য বিশ্বনেতাদের সামনে ছয় দফা প্রস্তার তুলে ধরেন।
প্রথমত, জি-৭, জি-২০, ওইসিডি দেশগুলো, এমডিবি এবং আইএফআইগুলোকে অর্থনৈতিক প্রণোদনা দিতে হবে এবং ঋণ মওকুফে পদক্ষেপ নিতে হবে। উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোতে ওডিএ এর ০.৭ প্রতিশ্রতির বাস্তবায়ন করতে হবে।
দ্বিতীয়ত, আমাদের আরো বেশি বেসরকারি অর্থ ও বিনিয়োগ উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সরিয়ে নিতে হবে। ডিজিটাল বিভাজন বন্ধ করার জন্য আমাদের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে কাজে লাগাতে হবে।
তৃতীয়ত, কোভিড-পরবর্তী শ্রম বাজারে এবং প্রবাসী শ্রমিকদের সহায়তা করার মাধ্যমে রেমিট্যান্স প্রবাহের নিম্নমুখী প্রবণতার বিপরীতমুখে নেওয়ার জন্য সঠিক নীতিমালা করার পদক্ষেপ প্রয়োজন।
চতুর্থত, উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোকে অবশ্যই উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য শুল্ক এবং কোটামুক্ত বাজারে প্রবেশাধিকার, প্রযুক্তি সহায়তা এবং আরো প্রবেশযোগ্য অর্থায়নের বিষয়ে তাদের অদম্য প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
পঞ্চম, কোভিড-১৯ মহামারির কারণে স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উত্তরণের পর যাতে পেছনে যেতে না হয়, এজন্য অন্তত ২০৩০ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সহায়তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
ষষ্ঠ এবং পরিশেষে, জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকাণ্ড এবং স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য অর্থ সংগ্রহে আরো জোর প্রচেষ্টা করা দরকার।