কেরানীগঞ্জের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪
ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলায় প্লাস্টিক কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ জনে। আজ শনিবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সংলগ্ন চাঁনখারপুলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আসাদ (১৪) নামের এক কিশোরের মৃত্যু হয়।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক সামন্ত লাল সেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শরীরে ৫০ শতাংশ পোড়া নিয়ে আসাদের মৃত্যু হয়েছে।
এর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ১০ জন ও শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দুজনের মৃত্যু হয়েছিল। এ ছাড়া অগ্নিকাণ্ডের সময় ঘটনাস্থলেই অন্য একজনের মৃত্যু হয়।
গত বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ার হিজলতলা এলাকায় অবস্থিত প্রাইম পেট অ্যান্ড প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রিজ কারখানায় আগুন লাগে। এ সময় ৩৫ জনের মতো দগ্ধ হয়। এর মধ্যে ঘটনাস্থলেই একজন নিহত হন।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছিলেন, ‘চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ১০ জনকে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সাতজনকে ঢামেকের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের হাই ডিপেনডেবল কেয়ার ইউনিটে (এইচডিইউ) চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের প্রায় সবারই শ্বাসনালি পুড়ে গেছে। সবার পরিস্থিতিই আশঙ্কাজনক।’
ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের দায়িত্বরত পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া নিহতদের মধ্যে কয়েকজনের একটি তালিকা দিয়েছেন। এর মধ্যে আছেন ইমরান, রায়হান, বাবলু, সুজন, খালেক, জিয়ারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর, আলম, ফয়সাল, মেহেদি, ওমর ফারুক ও সালাউদ্দিন। এ ছাড়া ঘটনাস্থলে যে ব্যক্তি নিহত হয়েছেন, তাঁর নাম মাহাবুব। তাঁরা সবাই চুনকুটিয়া এলাকায় থাকেন এবং ওই কারখানাতেই কাজ করতেন।
অগ্নিকাণ্ডের পর কারখানার মালিক নজরুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন নিহত মো. আলমের ভাই মো. জাহাঙ্গীর।