কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে ব্রিটেনের প্রযুক্তিগত ও পরিচালনা বিষয়ে সহযোগিতা চায় বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসনের সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন।

দেশের কৃষি উৎপাদনের অভাবনীয় সাফল্যের কথা তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, উৎপাদনে সাফল্য এলেও রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতকরণে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। আমাদের অর্থের অভাব নেই, প্রয়োজন কারিগরি ও ম্যানেজারিয়াল সহযোগিতা। এক্ষেত্রে ব্রিটেনের সাপোর্ট আমরা চাচ্ছি।

ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন বাংলাদেশকে কৃষি প্রক্রিয়াজাত ও রপ্তানি বৃদ্ধিতে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, কৃষিতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য ব্রিটেনের প্রাইভেট সেক্টরকে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, ইউরোপের বাজারে সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল এবং প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করতে কৃষিমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোক্তা-ব্যবসায়ীদের একটি দল নেদারল্যান্ড ও ব্রিটেন সফরে যাচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের ফলমূল, আলু এবং শাকসবজি রপ্তানি ও প্রক্রিয়াজাতের সম্ভাবনা অনেক। আমাদের এখন অনেক উদ্বৃত্ত ফসল রয়েছে। এগুলোকে আমরা ইউরোপের মূল বাজারে রপ্তানি করতে চাই। এখন যা রপ্তানি হচ্ছে তার মূল ক্রেতা হলো প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ সফরে আমরা ব্রিটেনের ব্যবসায়ী সংগঠন ও শীর্ষস্থানীয় চেইনশপ বা সুপারমার্কেটের সঙ্গে আলোচনা করব।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধুরাষ্ট্র। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরু থেকেই ব্রিটেনের সঙ্গে বাংলাদেশের গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের এ সম্পর্ক অটুট থাকবে। ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

সাক্ষাৎকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।