কুষ্টিয়ায় ডোপ টেস্টে ধরা পড়ে আট পুলিশ চাকরিচ্যুত
ডোপ টেস্টে মাদক সেবনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কুষ্টিয়ায় কর্মরত আট পুলিশ সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। পুলিশ অধিদপ্তরের সিদ্ধান্তে ওই আটজনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে আজ সোমবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ খবর নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম তানভীর আরাফাত।
চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা হলেন উপপরিদর্শক (এসআই) হামিদুর রহমান, এসআই নাজিম উদ্দিন, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহাঙ্গীর আলম, এএসআই নাঈম মাহমুদ, কনস্টেবল বিপ্লব হোসেন, সাইফুল ইসলাম, নাহিদ হাসান ও মাজহারুল ইসলাম।
এসপি তানভীর আরাফাত বলেন, ‘আইজিপির নির্দেশে মাদক ব্যবসায়ীদের ধরার অভিযান জোরদারের পাশাপাশি পুলিশেও শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। ২০১৯ সালের মে থেকে কুষ্টিয়ায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের ডোপ টেস্ট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই সময় গোয়েন্দা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন কয়েকজন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করানো হয়। গত দেড় বছরে পর্যায়ক্রমে ১২ জনের ডোপ টেস্ট করা হয়। পরীক্ষায় ১০ জন নিয়মিত মাদক সেবন করেন বলে রিপোর্ট (পজিটিভ) আসে। তারপর এসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শুরু হয়।
তদন্ত শেষে আটজনকে চাকরিচ্যুত করেছে পুলিশ অধিদপ্তর। তাঁদের মধ্যে দুজন এসআই, দুজন এএসআই ও চারজন কনস্টেবল রয়েছেন। মাদক সেবনকারী এসব পুলিশ সদস্যরা বিভিন্ন থানা ও ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন। এ ছাড়া দুজনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আরো দুজনের বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’
এসপি আরো বলেন, ‘মাদকের বিষয়টি ধরা পড়ার পর ওইসব পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি প্রথম দিকে অন্য জেলায় বদলি করা হয়। এর মধ্যে এক এসআইকে রাঙামাটিতে বদলি করা হয়। মাদক সেবনের বিষয়টি ধরা পড়া অন্য সবাইকে বিভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়। আর যে দুজনের বিরুদ্ধে মাদক সেবনের বিষয়ে অধিকতর তদন্ত চলছে, তাঁদের মধ্যে ট্রাফিক পুলিশের এক সার্জেন্টকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত রাখা হয়েছে।’
তানভীর আরাফাত বলেন, ‘মাদকের সঙ্গে কোনো আপস নয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিও মাদকের সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তাই পুলিশে শুদ্ধি অভিযান চলছে, চলবে। আমরা কুষ্টিয়া থেকে মাদক নির্মূলের পাশাপাশি পুলিশ থেকেও চিরতরে মাদকাসক্তদের বাড়িতে পাঠাতে চাই। পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কোনো মাদক সেবনকারী থাকতে পারবে না।’