কুষ্টিয়ায় জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আনসার সদস্যসহ ২ জনের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার মৃত্তিকাপাড়ায় শুক্রবার জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আশরাফুল ইসলাম (৪৫) নামে এক আনসার সদস্যসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মৃত্তিকাপাড়ার বাসিন্দা আশরাফুল ইসলাম জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে নিজ বাড়িতে মারা যান। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় তিনি তাঁর কর্মস্থল যশোর থেকে নিজ গ্রামে আসেন।
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, যশোর থেকে কুষ্টিয়ায় আসা আশরাফুল ইসলাম নামে এক আনসার সদস্য, জ্বর-সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শুক্রবার বিকেলে মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কি না, তা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার জন্য শনিবার (আজ) ঢাকায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হবে। রিপোর্ট এলে নিশ্চিত করা যাবে, তাঁর করোনা পজেটিভ ছিল কি না। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের গোয়ালগ্রাম কারিগরপাড়ায় জিয়াউর উদ্দিন (৩০) নামের এক দিনমজুর জ্বর, সর্দি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর স্থানীয়রা বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই শ্রমিকের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
জিয়াউর উদ্দিনের স্বজনরা জানান, জিয়াউর উদ্দিন হাঁপানির রোগী ছিলেন এবং মাঠে দিনমজুরের কাজ করতেন। কোনো বিদেশ ফেরতের সংস্পর্শেও তিনি যাননি বলে স্বজনরা দাবি করেছেন।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার জানান, মৃত ব্যক্তির শরীরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জিয়াউরের বাড়িসহ প্রতিবেশীদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের দুটি গ্রাম লকডাউন করেছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে বেশ কয়েকজন ওই দুই গ্রামে আসার কারণে গ্রাম দুটি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজীবুল ইসলাম খান।