কুলসুমের সাজা ভোগ করছেন মিনু, সত্যতা পেয়েছে আদালত
হত্যা মামলার আসামি না হয়েও মিনু আক্তার নামের একজনের সাজাভোগ করার ঘটনার সত্যতা পেয়েছে চট্টগ্রামের একটি আদালত। এ মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদালতে চলমান থাকায় নিম্ন আদালতের তথ্য ও উপনথি উচ্চ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক শরীফুল আলম ভূঁঞা আজ মঙ্গলবার এ নির্দেশ দেন।
এর আগে সকালে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শফিকুল ইসলাম খানকে তলব করা হয় আদালতে।
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নোমান চৌধুরী জানান, চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জ এলাকায় ২০০৬ সালের ২৯ মে খুন হয় কোহিনূর আক্তার বেবী নামের এক পোশাকশ্রমিক। এ ঘটনায় প্রতিবেশীর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে কুলসুমা আক্তারের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। রায়ের পর থেকে পলাতক ছিলেন কুলসুমা। আসামি কুলসুমার সঙ্গে পরিচয়ের সূত্র ধরে তিনি মিনু আক্তারের তিন সন্তানের ভরণ পোষণের দায়িত্ব নেন। তারপর থেকে তিন বছর ধরে কুলসুমার সাজা ভোগ করছেন মিনু। একটি মাদ্রাসায় মিনুর তিন শিশু ছেলের লেখাপড়া ও তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে গিয়ে ঘটনাটি আদালতের নজরে আনেন এক তরুণ আইনজীবী। সাজা ভোগকরা বন্দির সঙ্গে প্রকৃত আসামির ছবির অমিল রয়েছে বলে জানান আদালত।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রকৃত আসামি কুলসুমা আক্তার মামলার সাজা হওয়ার আগে ২০০৭ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন। সাজা হওয়ার পর ২০১৮ সালের ১২ জুন কুলসুমা সেজে মিনু আক্তার কারাগারে আসেন। কারা রেজিস্ট্রারে থাকা দুজনের ছবির মিল নেই। বিষয়টি জানার পর লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হয়।
গতকাল সোমবার দুপুরে আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের উপস্থিতিতে মিনু আক্তার বলেন, মর্জিনা আক্তার নামের পূর্বপরিচিত এক নারী তাঁকে টাকা দেওয়ার কথা বলে কারাগারে যেতে বলেন। তিনি কুলসুমাকে চেনেন না। ভয়ে এত দিন কাউকে কিছু বলেননি।