কুমিল্লায় কাউন্সিলর হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
কুমিল্লায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল এবং আওয়ামী লীগ নেতা হরিপদ সাহা হত্যা মামলায় এজহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ ও র্যাবের যৌথ অভিযানে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সুমন নামের এজহারনামীয় চার নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশের কয়েকটি টিম তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।
এর আগে ঘটনার প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর নিহত কাউন্সিলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম নামীয় এবং আরও সাত-আট জন অজ্ঞাত ব্যক্তির নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন।
মামলা করার ১০ ঘণ্টার মধ্যে এজহারনামীয় চার নম্বর আসামা সুমনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগ থেকে আটক করা হয়। কিডনি সমস্যায় সুমন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজীম এ তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে, কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে হত্যাস্থলের আধা কিলোমিটার দূর থেকে অস্ত্র, গুলি, হাতবোমাসহ নানা বস্তু জব্দ করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরাইশ এলাকা থেকে এসব জব্দ করা হয়।
এর পর গতকাল সন্ধ্যায় সংরাইশ থেকে উদ্ধার করা দেশীয় ৪৮টি হাতবোমা গতকাল রাতে গোমতী নদীর তীরে নিষ্ক্রিয় করে ঢাকা থেকে আসা কাউন্টার টেররিজমের বোমা নিষ্ক্রিয়কারী একটি দল।
এদিকে, আরও আগ্নেয়াস্ত্র থাকতে পারে এমন আশঙ্কায় পুলিশ ১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিল অফিস এবং এর আশপাশের এলাকায় তল্লাশি তৎপরতা জোরদার করেছে। মামলার আসামিদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
গত সোমবার বিকেলে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন এলাকায় অফিসে ঢুকে কাউন্সিলর মো. সোহেল এবং তাঁর সহযোগীকে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও চার জন গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মো. সোহেল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য এবং ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। তাঁর বাড়ি নগরের সুজানগর এলাকায়। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।