কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ২ নেতা কারাগারে
কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির দুই নেতাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গতকাল বুধবার রাত ৮টার দিকে জেলা শহরের স্টেশন রোডে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে জেলা বিএনপির যুববিষয়ক সম্পাদক, করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমন ও জেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব রবিউল হক মিল্কি শ্যামলকে সদর মডেল থানার পুলিশ আটক করে। পরে পুলিশের করা মামলায় তাদের দুজনকে প্রেপ্তার দেখানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের দুজনকে আদালতে পাঠানো হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক পার্থ ভদ্র আগামী রোববার জামিন শুনানির দিন ধার্য করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গ্রেপ্তার দুই বিএনপিনেতার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শফিউজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আজ সময়ের স্বল্পতার কারণে জামিন শুনানি হয়নি।’
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর জ্বালানি তেল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলা ও নারায়নগঞ্জে বিএনপির তিন নেতা-কর্মীকে পুলিশের গুলিতে নিহত করার ঘটনার প্রতিবাদে পাকুন্দিয়ার সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা মোড় এলাকায় আয়োজিত বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড করে টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে পুলিশের ২০ সদস্যসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এরমধ্যে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত তিনজনকে ঢাকায় বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংঘর্ষের এ ঘটনায় পাকুন্দিয়া থানার এসআই শাহ কামাল বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও পেনাল কোডের বিভিন্ন ধারায় ১৪০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের দেড় হাজার জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে আতঙ্ক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধাদান এবং সাধারণ জনগণের ওপর হামলা, ভাঙচুর ও ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টির অপপ্রয়াসের অভিযোগ আনা হয়।