কিশোরগঞ্জে হত্যা মামলায় উপজেলা আ. লীগের নেতা কারাগারে
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরে হত্যা মামলায় জড়িত অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে (৫০) গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আল মামুন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে বাজিতপুর পৌর এলাকার পশ্চিম বসন্তপুর সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকা থেকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে।
পোল্ট্রি ফিড ব্যবসায়ী সাচ্চু বাজিতপুর উপজেলার বলিয়াদী ইউনিয়নের শিমুলতলী গ্রামের আব্দুল আউয়ালের ছেলে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক আগামী রোববার জামিন শুনানির দিন
ধার্য করে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। মামলার বরাত দিয়ে তদন্ত কর্মকর্তা আরো জানান, ২০১৭ সালের ২৭ জুন ঈদের দিন রাতে বাজিতপুর পৌরসভা এলাকায় একদল দুর্বৃত্ত সাচ্চুকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ২৯ জুন মারা যান সাচ্চু। এ ঘটনায় সাচ্চুর ভাই জামাল মিয়া বাদী হয়ে হেলিম নামের একজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
এ ঘটনায় পিবিআইকে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়। হত্যায় জড়িত প্রমাণিত হওয়ায় নান্টু মিয়া (২৮) ও আল-আমিন (৩২) নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে গ্রেপ্তারকৃতরা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে নিহত সাচ্চুর ছোট ভাই লায়েছ মিয়ার (২৮) সঙ্গে বিরোধ থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হলে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করাহয়।
নান্টু ও আল-আমিন স্বীকারোক্তিতে জানান, আব্দুল্লাহ আল মামুন এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। তাঁর নির্দেশে দুই লাখ টাকার বিনিময়ে লায়েছ মিয়াকে খুন করতে যান তাঁরা। কিন্তু ভুল করে মশারির ভেতর ঘুমন্ত লায়েছ মিয়ার বড় ভাই সাচ্চুকে কুপিয়ে আহত করে মৃত ভেবে ফেলে যান তাঁরা।