কিশোরগঞ্জে হত্যার ঘটনায় পৌর কাউন্সিলর কারাগারে
কিশোরগঞ্জে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমনকে আটকের পর আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গত সোমবার রাতে দুপক্ষের সংঘর্ষে ফারহান মাসুদ বিজয় (২০) নামের এক তরুণ গুরুতর আহত হয়ে মারা যান।
আদালতের পরিদর্শক উপপরিদর্শক (এসআই) হাম্মাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ বুধবার বিকেলে উক্ত হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে কিশোরগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমনসহ (৪৫) আটক দুজনকে আদালতে আনা হয়। পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শহীদুল ইসলাম চৌধুরীর নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। আটক অপর আসামির নাম মনির (২২)।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর সিদ্দিক জানান, গত সোমবার রাতেই হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে কাউন্সিলর ইয়াকুব সুমন ও মনিরকে আটক করা হয়। তবে এখন পর্যন্ত বাদীপক্ষে কেউ মামলা না করায় আজ দুজনকে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। তবে হত্যার ঘটনায় কেউ মামলা করলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
ওসি জানান, ঘটনার দিন বিকেলে জেলা শহরের আখড়াবাজার ও নগুয়া এলাকার দুপক্ষের সংঘর্ষের এক পর্যায়ে রাস্তায় প্রতিপক্ষের ধারালো চাকুর আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হন ফারহান মাসুদ বিজয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত বিজয় শহরের নগুয়া প্রথম মোড়ের আব্দুর রহমানের ছেলে। তার গ্রামের বাড়ি জেলার নিকলী উপজেলার কুমারপাড়া গ্রামে। তিনি চলতি বছর নিকলী মুক্তিযোদ্ধা আদর্শ কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।