কিশোরগঞ্জে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় তরুণীর মৃত্যুদণ্ড, তাঁর মায়ের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জে স্কুলছাত্র তোফায়েল হত্যা মামলায় জুয়েনা আক্তার (৩০) নামের এক তরুণীর মৃত্যুদণ্ড ও তাঁর মা রীনা আক্তারের (৫৫) যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম আসামি রীনা আক্তারের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জুয়েনা আক্তার জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। এ ছাড়া সাজাপ্রাপ্ত প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অপর আসামি জুয়েনার ছেলে রাসেল ভূইয়ার (১২) বয়স কম থাকায় শিশু আদালতে তার বিচার কার্যক্রম চলছে।
নিহত তোফায়েল জেলা শহরের আজিম উদ্দিন হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ১০ মার্চ সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জ শহরের বত্রিশ এলাকায় পূজার অনুষ্ঠান দেখার সময় রাসেল ভুইয়ার সঙ্গে তোফায়েলের কথা কাটাকাটি হয়। পরে সেখান থেকে সন্ধ্যায় বাসায় ফেরার পথে রাস্তায় রিনা আক্তার ও জুয়েনা আক্তার তোফায়েলের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ১১ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফায়েল মারা যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
আসামিরা কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বাসিন্দা হলেও তাদের বাড়ি কটিয়াদী উপজেলার পিপুলিয়া বাইকপাড়া গ্রামে। ওই গ্রামের দুলাল ভূইয়ার স্ত্রী রিনা আক্তার এবং তাঁদের মেয়ে জুয়েনা আক্তার। নিহত তোফায়েলের বাসা জেলা শহরের নিউটাউন এলাকায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আহসান হাবীব তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি অ্যাডভোকেট আবু সাইদ ইমাম এবং আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট ক্ষীতিশ দেবনাথ মামলাটি পরিচালনা করেন।