কাশবনে তরুণীর শ্লীলতাহানি : প্রধান আসামি রিমান্ডে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাশবনে ঘুরতে যাওয়া তরুণীকে যৌন নিপীড়নে মামলার প্রধান আসামি আবদুর রহিমের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-প্রথম আদালতের বিচারক সরোয়ার আলম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক দিদারুল আলম নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মামলার প্রধান আসামি রহিম। পরে আদালতের বিচারক সরোয়ার আলম তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রহিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা। যৌন নিপীড়নের ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি গা ঢাকা দেন। এর আগে তরুণীকে যৌন নিপীড়নের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর রহিমের বন্ধু জুনায়েদকে আটক করে পুলিশ। পরে পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা ও পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়। বর্তমানে জুনায়েদ কারাগারে।
২৩ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে কাশবনে ঘুরতে গিয়ে স্থানীয় বখাটে যুবকদের হাতে শ্লীলতাহানির শিকার হন এক তরুণী। শ্লীলতাহানির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, কালো বোরকা পরা এক তরুণী শহরের পুনিয়াউট এলাকার কাশবনে ঘুরতে যান। সেখানে তাঁকে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে উত্ত্যক্ত করছেন। তরুণীর ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে টাকা নিয়ে যান তাঁরা। এ অবস্থায় ওই তরুণী বখাটেদের পায়ে ধরে ‘বড় ভাই’ ডেকে মিনতি করেন। তাঁরা তরুণীটির বোরকা খোলার চেষ্টা করেন এবং তরুণীর শ্লীলতাহানি করেন। ফেসবুক পোস্টে বখাটেদের একজনের নাম রহিম বলে উল্লেখ করা হয়েছে।