কাউন্সিলর সেন্টুর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা
চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন মোহাম্মদপুরের টাউন হল মার্কেটের জুস ব্যবসায়ী তরিকুল ইসলাম। গতকাল তিনি মোহাম্মদপুর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুল লতিফ বলেন, ‘মামলাটিতে যে অভিযোগ করা হয়েছে এরইমধ্যে তার তদন্ত শুরু হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে আমরা আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এই ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।‘
কাউন্সিলর সেন্টু ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সেলিম, বাবুল, আবুল মণ্ডল, মো. সালাম, মো. লাবু, মো. চৌধুরী ও মো. মোহন। তাঁরা সবাই শফিকুল ইসলাম সেন্টুর অনুসারী বলে জানায় পুলিশ।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২০ সেপ্টেম্বর কাউন্সিলর অফিস থেকে আসামিরা তরিকুল ইসলামের দোকানে যান। এ সময় তাঁরা পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু তরিকুল চাঁদা দেননি। চাঁদা না দেওয়ায় পরের দিন রাতে সেন্টু ও তাঁর দলবল দোকানে গিয়ে তরিকুল ও দোকানের কর্মচারীদের মারধর করে।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম সেন্টু পাল্টা অভিযোগ করে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তরিকুল ইসলামের ওই মার্কেটের ভেতরে জুসের দোকান থাকলেও তিনি ফুটপাত এবং কার পার্কিংয়ের জায়গা দখল করে চেয়ার দিয়ে আটকে রাখেন। যাতে অনেক লোকজন সেখানে বসতে পারে। আমরা এসব উচ্ছেদ শুরু করেছি। বলেছি ফুটপাত দখল না করতে। সেসবের জেরে এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমি তিনবারের কাউন্সিলর। কখনো এমন চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি। আপনারা খোঁজ নিলেও জানতে পারবেন।’