কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা
মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ী থেকে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া নৌপথে হাজার হাজার যাত্রীর চাপ সামাল দিতে না পেরে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার বিকেল ৩টায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম ফেরি বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম নৌরুট কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া ঘাট। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের জন্য ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই নৌরুটটিই সহজতর। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এ নৌরুটে গত মার্চ মাসের ২৪ তারিখ থেকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে জরুরি প্রয়োজনে ফেরি চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ। ঈদকে সামনে রেখে গত কয়েকদিন ধরেই এই নৌরুটে যাত্রীদের ঢল নামে। কিন্তু আজ সোমবার সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের ভিড় অনেক বেড়ে যায় ঘাট এলাকায়। ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় যেমন রয়েছে আবার ঘরে ফেরা যাত্রীদেরও ভিড় রয়েছে। সব মিলিয়ে কাঁঠালবাড়ী ঘাট লোকে লোকারণ্য হয়ে উঠেছে।
এ নৌরুটে আজ কোনোভাবেই যাত্রীদের চাপ ঠেকানো যাচ্ছিল না। যাত্রীরা ফেরিতে গাদাগাদি করেই পারাপার হচ্ছিল। লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকায় ফেরিতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় ছিল।
সরেজমিনে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, গণপরিবহন বন্ধ থাকায় থ্রি হুইলারে চেপে যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ী ঘাটে আসছে। ফেরিতে উঠতে যাত্রীদের মধ্যে রয়েছে প্রতিযোগিতার মনোভাব। করোনাভাইরাস নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ বা সচেতনতা নেই। কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে পরিবহন না পেয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। দূরপাল্লার বাস বন্ধ। থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা, ইজিবাইক, মোটরসাইকেলে করে অধিক ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে হচ্ছে।
মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক বলেন, মানুষ বিভিন্ন উপায় ফেরিঘাটে এসে জমায়েত হয়। ফেরিতে যাত্রী পারাপার না করার জন্য ফেরি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করা হয়েছে। সে নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁঠালবাড়ী ঘাটে যেন যাত্রীরা জড়ো না হতে পারে সে ব্যাপারে ফেরি কর্তৃপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম শফিকুল ইসলাম বলেন, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে সোমবার বিকেল থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ফেরি ঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম বলেন, রাতে ফেরি চলাচল সীমিত করে চারটি চালালেও যাত্রী চাপে সোমবার সকাল থেকে ১৪টি ফেরি চালু করতে বাধ্য হই। কয়েকদিন ধরেই যাত্রীদের ভিড় রয়েছে ঘাটে। ব্যক্তিগত পরিবহনও পার হচ্ছে। ওপাড় থেকে হাজার হাজার যাত্রী আসছে এপাড়।