কলেজছাত্র নিহতের ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ২২ জনের নামে মামলা
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে বিজয়ী ও পরাজিত সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কলেজছাত্র আরিফ হোসেন নিহতের ঘটনায় ২২ জনের নামে হত্যা মামলা করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে নিহত আরিফের বাবা শাহ আলম আকন লাল মিয়া বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য মজিবর রহমানকে।
এরই মধ্যে এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, ছোনাউটা গ্রামের আলিম সিকদার, আবদুল মালেক, সিরাজ সিকদার ও মো. শাহজাহান।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, গত সোমবার কাঁঠালিয়ার আমুয়া ইউপি নির্বাচনে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য নির্বাচিত হন মজিবর রহমান। পরদিন মঙ্গলবার রাতে বিজয়ী ইউপি সদস্যের সমর্থকেরা স্থানীয় ছোনাউটা কেরাত আলী দাখিল মাদ্রাসাসংলগ্ন এলাকায় পিকনিকের আয়োজন করেন। এ সময় একই ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী ফারুক মিয়ার কর্মী আলী হোসেন রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মজিবর রহমানের সমর্থকেরা তাঁকে আটক করে বেঁধে রাখেন।
এ খবর পেয়ে ফারুকের লোকজন আলী হোসেনকে ছাড়াতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহত কলেজছাত্র আরিফ হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
কাঁঠালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পুলক চন্দ্র রায় জানান, কলেজছাত্র নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার পরপরই তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে অভিযান চালিয়ে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।