করোনা সচেতনতায় কাজ করছে ফরিদপুর জেলা পুলিশ
করোনাভাইরাস সচেতনতায় ফরিদপুরের জেলা পুলিশ ও নয়টি থানা একজোট হয়ে জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক এই মহামারি মোকাবিলায় দিনরাত কাজ করে চলছেন তাঁরা। আর এ কাজে জেলা পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানের দিকনির্দেশনায় তাঁরা বিদেশফেরত ব্যক্তিদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখাসহ করোনাভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনমূলক বক্তব্য প্রচার ও লিফলেট বিতরণ করছেন।
এখন পর্যন্ত ফরিদপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি। তারপরও জনসচেতনতায় বসে নেই পুলিশ প্রশাসন। এ পর্যন্ত জেলায় ৪৬৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টিন না মানায় বেশ কিছু বিদেশফেরত ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে, অনেক প্রবাসী ফরিদপুরে অবস্থান করছেন। বিশ্ব করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে এসব প্রবাসী দেশে ফিরেছেন। বিশেষ করে পাশের দেশ ভারত থেকে ফিরে বহু মানুষ ফরিদপুরে অবস্থান করছেন। ফরিদপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় যখন এমন তথ্য পুলিশ বিভাগকে জানায়, তখন থেকেই পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান জেলার বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) দায়িত্ব দেন, যেকোনো উপায়েই হোক সেসব লোককে খুঁজে বের করতে হবে, রাখতে হবে হোম কোয়ারেন্টিনে। যেমন আদেশ, তেমন কাজ। গোটা পুলিশ বিভাগ বর্তমানে ব্যস্ত সেসব প্রবাসীকে খুঁজে বের করার কাজে। একই সঙ্গে বিভিন্ন স্থানে জনগণের সঙ্গে সরাসরি সচেতনমূলক বক্তব্য প্রদান এবং লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান বলেন, ‘করোনাভাইরাস রোধে বিদেশফেরতদের বাড়ি বাড়ি পুলিশ পাঠিয়ে সতর্ক করছি। এমনকি নজরদারির মধ্যেও রাখছি। তারপরও কোনো আইন, কোনো নিয়ম, কোনো শৃঙ্খলাই মানতে চায় না কিছু সংখ্যক মানুষ। মানুষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। একই সঙ্গে যার যার অবস্থান থেকে সবাই সতর্ক হলেই এমন দুর্যোগ মোকাবিলা করা সম্ভব।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘করোনাভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় বিষয়ক লিফলেট ও মাস্ক নিয়ে সড়কে চলাচলকারী মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়েও পুলিশ কাজ করছে। করোনাভাইরাস বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে আমাদের। নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখতে হবে।’
জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে আলিমুজ্জামান বলেন, অপ্রয়োজনে শিশুদের ঘরের বাইরে আনা বিরত থাকতে হবে। শারীরিক কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।
এদিকে, বাজারে হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের দাম। এই ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে জেলা পুলিশ কাজ করছে বলে জানা গেছে। তাদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।