বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের চরম সমন্বয়হীনতা রয়েছে। দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছে সরকার।

মির্জা ফখরুল বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মাত্র ছয় মাসের জামিন দেওয়াটা অন্যায়। তাকে সম্পূর্ণভাবে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া উচিত।

আজ সোমবার ঈদুল ফিতরের দিন রাজধানীর শেরে বাংলানগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা শহীদ জিয়ার মাজার জিয়ারত ও দেশবাসীর জন্য বিশেষ মুনাজাত করেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, শায়রুল কবির খান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মুনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের সদস্য সচিব মাওলানা নজরুল ইসলাম।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে করোনাভাইরাস গোটা বিশ্ব ব্যবস্থা ওলটপালট করে দিয়েছে। বাংলাদেশেও আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সরকার লকডাউন না করে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের কর্মকাণ্ডে চরম অসামঞ্জস্যতা দেখা যাচ্ছে। তারা দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করছে। এবারের ঈদ একেবারেই অন্যরকম। তারপরও সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। ঈদ মোবারক।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আজকে আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতে এসেছি। তার রূহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করেছি। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য সুস্থতা কামনায় মুনাজাত করেছি। আমরা প্রতিবছর আমাদের দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে মাজার জিয়ারত করতাম। কিন্তু তাকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারে বন্দী রাখা হয়। সম্প্রতি তাকে শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের জামিন দিয়েছে। আমি মনে করি এটা তার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে। তাকে সম্পূর্ণভাবে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া উচিত।

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগে যেমন ছিলো তেমনি আছে। স্থিতিশীল রয়েছে।

এ সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় কারাবন্দী সবার মুক্তি দাবি ও সুস্বাস্থ্য কামনা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।