করোনা প্রতিরোধে সমন্বিত প্রচেষ্টা দরকার : এলজিইআরডিমন্ত্রী
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সব মন্ত্রণালয়, স্বায়ত্ত্বশাসিত এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত প্রচেষ্টার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
আজ শনিবার দেশের বর্তমান করোনা মহামারীর সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে অনলাইনে এক ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এলজিইআরডি মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকা দুই সিটি করপোরেশনের অধীনস্থ সব ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের নিয়ে ১০ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন এবং কমিটি ওই ওয়ার্ডকে ১০ ভাগে বিভক্ত করে সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং এনজিও প্রতিনিধির সমন্বয়ে আরো ১০টি উপকমিটি গঠন করা সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এসব কমিটি গঠিত হলে করোনা মোকাবলা, নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্ত বা অসহায় ব্যক্তিদের সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতাসহ নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড আরো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। তিনি বলেন, দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা-উপজেলার স্থানীয় প্রতিনিধিদের তৃণমূল পর্যায়ে সতর্ক অবস্থান নেওয়ার পরামর্শ দেয় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
মন্ত্রী বলেন, দেশে লকডাউন ঘোষণার পর থেকে গরিব, দুস্থ-অসহায় এবং ছিন্নমূল মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এনজিওকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করে আসছে সরকার।
ভিডিও কনফারেন্সে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী মো. ফরহাদ হোসেন, ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ অংশ নেন।
এ সময়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক করোনার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে করণীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে একটি প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন।