দেশে আজ পর্যন্ত করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন নয় লাখ ছয় হাজার ৩৩ জন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ছয় লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ জন এবং নারী দুই লাখ ৭৯ হাজার ৫৬৪ জন। সরকার গত আট দিন ধরে গণটিকা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর আগেও দুদিন সমাজের বিশিষ্টজনদেরকে টিকা দেওয়া হয়েছিল।

আজ রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনার টিকা গ্রহণ করেছেন এক লাখ ৬৯ হাজার ৩৫৩ জন। যাঁরা টিকা গ্রহণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ১২ হাজার ৮৪৮ জন এবং নারী ৫৬ হাজার ৫০৫ জন।

এদিকে, রাজধানীতে ৪৬টি টিকাদান কেন্দ্রে গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২২ হাজার ৯৮২ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, রাজধানীতে বিগত সময়ে এক লাখ আট হাজার ৪৪৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৮০ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ এবং ৩৭ হাজার ৬৮৫ জন নারী রয়েছেন।

এর আগে, মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত ২৭ জানুয়ারি দেশের ২৬ জনের মধ্যে টিকা প্রয়োগ করে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে ব্যাপকভাবে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

গণহারে টিকা কার্যক্রম শুরুর জন্য বাংলাদেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার ৭০ লাখ ডোজ আনা হয়েছিল। সেখান থেকে নয় লাখ ছয় হাজার ৩৩ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। করোনার টিকা নিতে চাইলে www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে।

ভারতের উপহার হিসেবে সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড টিকার ২০ লাখ ডোজ গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে এসে পৌঁছে। এরপর ২৫ জানুয়ারি সেরাম থেকে বাংলাদেশের ক্রয় করা কোভিশিল্ডের প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ নিরাপদে ঢাকায় আসে।