করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশের চিকিৎসা সেবা নিয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে উচ্চ আদালত।

করোনাভাইরাস সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে আজ সোমবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশনা দেয়।  

রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, অনিক আর হক, ইয়াদিয়া জামান, এ কে এম এহসানুর রহমান ও এ এম জামিউল হক ফয়সাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে পৃথক পাঁচটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাখিলকৃত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এসব নির্দেশনা আসে।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে-

১. বিনা চিকিৎসায় রোগী ফেরতের ঘটনায় হাইকোর্টে দায়েরেকৃত রিট আবেদনের অভিযোগগুলোর তদন্ত প্রতিবেদন ২১ জুলাইয়ে মধ্য দাখিল করা হয়।

২. ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত রোগীদের কোভিড- ১৯ থাকলে ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষা করে চিকিৎসা অব্যাহত রাখা হয়।  

৩. দশ কার্যদিবসের মধ্যে অক্সিজেনের মূল্য নির্ধারণ

৪. বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) অস্বাভাবিক মূল্য রাখলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দায়ের

৫. বিনা চিকিৎসার বিষয়ে অভিযোগ দায়েরের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনলাইনে অভিযোগ গ্রহণের পদ্ধতি চালু।

এর আগে এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুন এক আদেশে হাসপাতালে অসুস্থ রোগীর চিকিৎসায় অনীহার কারণে কেউ মারা গেলে তা ‘অবহেলাজনিত মৃত্যু’ বা ‘ফৌজদারি অপরাধ’ হিসেবে বিবেচনা করা, দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া, অক্সিজেন সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণ, নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) ফি যৌক্তিক রাখা, রোগীদের চিকিৎসাবিহীন ফিরিয়ে না দেওয়াসহ প্রাসঙ্গিক ১১ নির্দেশনা ও অভিমত দেন হাইকোর্টের এই ভার্চুয়াল বেঞ্চ।

হাইকোর্টের এই আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ জুন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের ভার্চুয়াল চেম্বার আদালত তিনটি নির্দেশনা বহাল রেখে বাকি আটটি স্থগিত করেন। স্থগিতাদেশের মধ্যে চিকিৎসাবিহীন মৃত্যু ফৌজদারি অপরাধ সংক্রান্ত ছয় নম্বর নির্দেশনাটিও ছিল।

সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাইকোর্টে দাখিলকৃত এক প্রতিবেদনে জানায়, চিকিৎসা না দিয়ে রোগী ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তারা কোনা অভিযোগ পায়নি।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ সোমবার রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত এ এসব নির্দেশনা দেন।