করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হবে নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতাল
নারায়ণগঞ্জ সদরের খানপুর এলাকায় ৩০০ শয্যা হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসার জন্য রূপান্তর করা হচ্ছে। এ কারণে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হাসপাতালের ইনডোর, আউটডোর ও জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ রোগীরা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন ও সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ দুই দিন ধরে হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। তাদের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য।
প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সরকারি হিসাব অনুযায়ী এ পর্যন্ত জেলায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আর করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে প্রায় ১০ জন।
এদিকে নগরীর খানপুর এলাকায় অবস্থিত ৩০০ শয্যা হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ এলে আজ সকাল থেকে সব চিত্র পাল্টে যায়। হাসপাতালে সব ধরনের চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। নগর ভবনের পাশে জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার জন্য রোগীদের পরামর্শ দেওয়া হয়।
৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. সামসুদ্দোহা সঞ্চয় জানান, গতকাল বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক টেলিফোনে নির্দেশ দেন নারায়ণগঞ্জ ৩০০ শয্যা হাসপাতালকে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করতে। এ কারণে নিয়মিত চিকিৎসাসেবা বন্ধ করে দিয়ে হাসপাতালকে প্রস্তুত করার কাজ শুরু হয়েছে। চিকিৎসার জন্য লজিস্টিক সাপোর্ট যত দ্রুত পাওয়া যাবে তত আগেই করোনা সংক্রমণের রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালটি প্রস্তুত করা সম্ভব হবে।
এই হাসপাতালকে করোনা চিকিৎসায় ব্যবহারে সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্টজনরা। একই সঙ্গে এখানে করোনা টেস্টের ল্যাব স্থাপনের দাবি রয়েছে তাদের।