করোনা চিকিৎসায় নাগরিক পরিবীক্ষণ জোরদারের দাবি ক্যাবের
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও সাধারণ রোগীদের চিকিৎসায় ভোগান্তি নিরসনে নাগরিক পরিবীক্ষণ জোরদারের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), চট্টগ্রাম।
আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন এ দাবি জানান বলে বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকার করোনা মোকাবিলায় বিভাগী ও জেলা পর্যায়ে সমন্বয় কমিটি গঠন ও বিভিন্ন অংশীজনদের সাথে প্রতিনিয়ত সমন্বয় সভা করলেও রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়নি। অধিকন্তু সেবা না পেয়ে জনগণ ক্ষুব্ধ ও অসন্তোষের মাত্রা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। যদিও সরকারের এসব তদারকিতে নাগরিক সমাজ কতটুকু সম্পৃক্ত, নাকি কিছু সরকারি কর্মকর্তা ও ওই সেক্টরের লোকজন মিলে সবকিছু হচ্ছে, তা এখন আলোচনার বিষয়।’
ক্যাবের দাবি, সেবা পেতে রোগীদের ভোগান্তি, হয়রানি, সেবা না পাওয়া, লাগামহীন সেবামূল্য আদায়, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারির অভাব ইত্যাদি সমস্যা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর নিত্যদিনকার চিত্র হলেও কার্যত কোনো ব্যবস্থায় মন্ত্রণালয় সফল হয়নি। জেলা-উপজেলা হাসপাতালে রোগীদের প্রতিনিধিত্ব ছাড়া স্থানীয় সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে একটি অকার্যকর উপদেষ্টা কমিটি থাকলেও বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতালগুলোর সেবার মান ও রোগীদের ভোগান্তি নিরসনে ঢাকায় অধিদপ্তর ছাড়া স্থানীয়ভাবে কোনো তদারকি নেই। ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা চলছে অভিভাবকহীন ও জবাবদিহি ছাড়া।
বিবৃতিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হলে স্বাস্থ্যসেবার সাথে জড়িত সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে জনঅংশগ্রহণমূলক স্বাস্থ্যসেবা বাস্তবায়ন করতে হবে। সেবা কর্মকাণ্ডকে নাগরিক পরিবীক্ষণের আওতায় আনতে হবে। সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। মন্ত্রী, এমপি ও সরকারি উচ্চ পর্যায়ের জন্য দেশীয় সরকারি হাসপাতালে সেবা গ্রহণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।