করোনা উপসর্গে রাতে রোগীর মৃত্যু, সকালে সহায়তাকারীর
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার আদমপুর ইউনিয়নের ভানুবিল এলাকার ওয়াহিদ মিয়া ও আলতা মিয়ার মৃত্যু হয়েছে।
পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভানুবিল এলাকায় ওয়াহিদ মিয়ার জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে প্রথমে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। একইভাবে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক রোগীকে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাস্তায় মারা যান ওয়াহিদ মিয়া।
একই এলাকার আলতা মিয়া ও রমিজ আলী ওয়াহিদ মিয়াকে চিকিৎসার জন্য একটি ভাড়া করা গাড়িতে নিয়ে বের হন। পরে লাশ নিয়ে ফেরার পর আজ শুক্রবার সকাল ৭টায় বাড়িতে মারা যান আলতা মিয়া। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন একই গ্রামের অপর সহযোগিতাকারী রমিজ আলী। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তাঁদের বয়স ৫৫ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনিন্দ্র সিংহ।
কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল আলম জানান, তিনি খবর পেয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
এ নিয়ে জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন ২৬ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পাঁচজন। মোট আক্রান্ত হয়েছেন ২২৯ জন এবং আরোগ্য লাভ করেছেন ৮৫ জন।