করোনায় ৯৩৯৮ পুলিশ আক্রান্ত, মৃত ৩৪
প্রতিদিন বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যরা করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হচ্ছেন। মারাও যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত সারা দেশে নয় হাজার ৩৯৮ জন পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৩৪ জন পুলিশ সদস্য।
আজ থেকে দুই মাস আগে অর্থাৎ গত ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত সারা দেশে কনস্টেবল হতে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ মোট ২১৮ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারা যাওয়ার খবর তখনো পাওয়া যায়নি। প্রথম মারা যাওয়ার খবরটি আসে ২৮ এপ্রিল। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জসিম উদ্দিন (৪০) নামের এক কনস্টেবল মারা যান সেদিন।
প্রথমদিকে পুলিশ সদস্যরা করোনায় কম আক্রান্ত হলেও সেই সংখ্যা এখন হু হু করে বাড়ছে। ২৩ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন প্রায় ১৫৭ জন পুলিশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একদিনে সর্বোচ্চ ৩২৪ জন পুলিশ আক্রান্ত হয়েছিল। তবে মোট আক্রান্তের পাঁচ হাজার ৪৯১ জন পুলিশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরাদের মধ্যে বেশিরভাগই কাজে যোগদান করেছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনারোধে কাজ করা মাঠের পুলিশ সদস্যরাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ভাইরাসটিতে। তবে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু আক্রান্তের হার সারা দেশে এক রকম নয়। যেমন শুধু ডিমপিতেই দুই হাজার ১৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা যাওয়ার হারও ডিএমপিতে বেশি। সর্বশেষ গতকাল সোমবার পুলিশ কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম মারা যান। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বন্দর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।
জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা বলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে পুলিশ শুরু থেকেই মাঠে কাজ করছেন। যাতে সদস্যরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবধানে কাজ করেন সেজন্য নিয়মিত তাঁদেরকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আক্রান্ত সদস্যদের জন্য উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে দ্রুত রোগী সুস্থও হয়ে উঠছেন। সুস্থদের মধ্যে বেশিরভাগই কাজে যোগদান করেছেন।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৫৪৫ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো তিন হাজার ৪১২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট এক লাখ ১৯ হাজার ১৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।