নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ৬১৮ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া দেশে নতুন করে আরো দুই হাজার ৪৫৯ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মোট দুই লাখ চার হাজার ৫২৫ জন করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়ার কথা জানানো হয় এবং প্রথম মৃত্যু ঘটে গত ১৮ মার্চ। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা এক হাজারে দাঁড়ায়। বর্তমানে দেশে দুই লাখ চার হাজার ৫২৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে।

অধ্যাপক নাসিমা সুলতানার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১০ হাজার ৯৩৫টি এবং পরীক্ষা করা হয়েছে আগের নমুনাসহ ১০ হাজার ৬২৫টি। এ নিয়ে দেশে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১০ লাখ ২৮ হাজার ২৯৯টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ১৪ শতাংশ। আর মোট পরীক্ষার ক্ষেত্রে শনাক্ত হয়েছে ১৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

নতুন করে মারা যাওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং আটজন নারী। মোট শনাক্তের ক্ষেত্রে মৃত্যুহার এখন পর্যন্ত ১ দশমিক ২৮ শতাংশ।

এদিকে, দেশে নভেল করোনাভাইরাস থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে আরো এক হাজার ৫৪৬ জন। সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ৬৪২ জন। সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

এদিকে, বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা আজ রোববার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ পাঁচ হাজার ১৪২ জনে।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে এ পর্যন্ত আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে বিশ্বের এক কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ১১ জন। তাদের মধ্যে বর্তমানে ৫২ লাখ ৯ হাজার ৪৮৭ জন চিকিৎসাধীন এবং ৬০ হাজার ৯৪ জন (১ শতাংশ) আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছে। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৮৬ লাখ ২৫ হাজার ৩৮২ জন সুস্থ হয়ে উঠেছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে উৎপত্তি হওয়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।