করোনায় মৃত ৬০ জনের দাফন শেষে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই আক্রান্ত
নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে মারা যাওয়া ৬০ জনের দাফন সম্পন্ন করার পর আলোচিত কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নিজেই এখন করোনায় আক্রান্ত। গতকাল শনিবার রাতে কাঁচপুরে সাজেদা ফাউন্ডেশন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তিনি। এক সপ্তাহ আগে তাঁর স্ত্রী আফরোজা খন্দকার লুনাও করোনায় আক্রান্ত হন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর খোরশেদ ফেসবুক লাইভে জানান, গতকাল শনিবার তাঁর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তবে তিনি আশা করছেন, তিন থেকে চার দিনের মধ্যে ফলাফল নেগেটিভ আসবে। তিনি মাঠে কাজ করতে না পারলেও সারাক্ষণ ফোন খোলা রেখে টিম ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানান।
এদিকে, খোরশেদের স্ত্রী লুনা করোনায় আক্রান্তের পর বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। তবে, শনিবার রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় লুনার। তিনি প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টে ভুগছেন।
কাউন্সিলর খোরশেদ শনিবার মধ্যরাতে সাজেদা হাসপাতালে পৌঁছানোর পর জানান, লুনাকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। তাঁর পুরো শরীর নিস্তেজ হয়ে গেছে। সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন তিনি।
খোরশেদ বলেন, ‘আমি নিজেও এখন করোনায় আক্রান্ত। আমার করোনা পজিটিভ আসার খবর পেয়ে লুনা আরো ভেঙে পড়েছে।’
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের দাফনে এগিয়ে আসার জন্য দেশ-বিদেশে আলোচিত হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ ও তাঁর টিম। করোনায় মারা যাওয়া ৬০ জনের দাফন করে ‘মানবতার ফেরিওয়ালা’, ‘করোনা যোদ্ধা’, ‘সুপার হিরো’সহ নানা খ্যাতি পাওয়া এই কাউন্সিলর এখন তাঁর স্ত্রীসহ হাসপাতালে।
খোরশেদ গতকাল বিকেলে ফেসবুকে লেখেন, ‘আমার জন্য আমার আল্লাহই যথেষ্ট। আমি আল্লাহর ইচ্ছায় করোনা পজিটিভ হয়েছি। তাই আগামী চারদিন আমি স্বশরীরে উপস্থিত না থাকলেও দাফন, টেলিমেডিসিন, প্লাজমা সংগ্রহ, সবজি বিতরণ, মধ্যবিত্তের জন্য ভর্তুকি মূল্যে খাবার বিক্রি ও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে ইনশা আল্লাহ। আমার টেলিফোন ২৪ ঘণ্টা খোলা আছে। যেকোনো প্রয়োজনে আমাকে জানালে আমাদের টিম মেম্বাররা আপনাদের সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট হবেন।’