‘করোনায় মরতে চাই, ক্ষুধার জ্বালায় নয়’
মানুষ যখন করোনাভাইরাসের কবল থেকে বাঁচতে ব্যস্ত, তখন অসহায় বিড়ি শ্রমিকরা মরতে বসেছে ক্ষুধার জ্বালায়। করোনা সংকটে প্রয়োজনে করোনায় মরতে হলেও ক্ষুধার জ্বালায় মরতে চান না বলে জানিয়েছেন তারা। আজ বুধবার কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ বক্তব্য দিয়েছেন এক বিড়ি শ্রমিক নেতা।
কুষ্টিয়া বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দুলাল বিশ্বাস নামের এ নেতা বলেন, ‘করোনার কারণে কর্ম বন্ধ থাকলেও থেমে নেই আমাদের জীবন জীবিকার চাহিদা। বিড়ি শিল্পের সঙ্গে আমরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের হত দরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, বয়স্ক নারী-পুরুষ ও নদী ভাঙন এলাকার মানুষ জড়িত। স্বাভাবিক সময়ে যখন আমাদের অবস্থা নুন আনতে পান্তা ফুরায়, তখন বর্তমান সময়ে চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিন পার করছি আমরা। পেটের জ্বালা মেটাতে আমাদের দুমুঠো খাবার জোগানো সম্ভব হচ্ছে না। বিকল্প কাজও নেই। আমরা সরকারের কাছে কোনো প্রণোদনা চাই না; চাই শুধু কাজের সুযোগ। এমতাবস্থায় আমাদের কাজের ব্যবস্থা করা হোক। প্রয়োজনে আমরা করেনায় মরব তবুও ক্ষুধার জ্বালা আর সহ্য করতে পারছি না।’
এ সময় এ শ্রমিক নেতা দাবি করেন, বিড়িতে বিদ্যমান শুল্ক কমাতে হবে। সপ্তাহে ছয় দিন কাজের নিশ্চয়তা দিতে হবে। শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশি কোম্পানির সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করতে হবে। বিদেশি কোম্পানীকে অনুকল্পা দিয়ে দেশি শিল্পকে ধ্বংস করা যাবে না। ভারতের মতো বিড়িকে কুটির শিল্প হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
এছাড়া সাম্প্রতি এক সংসদ সদস্য ও সুশীল সমাজ নামের যারা প্রধানমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে বিড়ি উৎপাদন ও বিক্রয় বন্ধের জন্য দাবি জানিয়েছেন তাদের কাছে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তিনি। তা না হলে তাদের চিঠি প্রত্যাহারের দাবি করেছেন এ শ্রমিক নেতা।
মানববন্ধনে কুষ্টিয়া বিড়ি শ্রমিক ইউনিনের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন মোল্লাসহ শতাধিক বিড়ি শ্রমিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।