করোনায় ঢাকা বিভাগে মৃত্যু ৫১ দশমিক ৩৩ শতাংশ
নভেল করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুই হাজার ১৫১ জনের মৃত্যু হলো। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় তিন হাজার ২৭ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত এক লাখ ৬৮ হাজার ৬৪৫ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত নিয়মিত বুলেটিনে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।
বুলেটিনে অধ্যাপক নাসিমা বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ৪৬ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৮ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২১ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ছয়জন ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন।
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১২ জন, বরিশাল বিভাগের দুজন, রাজশাহী বিভাগের দুজন, খুলনা বিভাগের সাতজন, সিলেটে দুজন, রংপুরে দুজন ও ময়মনসিংহ বিভাগের একজন রয়েছেন।
ডা. নাসিমা আরো বলেন, বিভাগভিত্তিক শতকরা মৃত্যুর হার ঢাকা বিভাগে ৫১ দশমিক ৩৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ, রাজশাহীতে ৪ দশমিক ৯৭ শতাংশ, খুলনায় ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ, বরিশালে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ, সিলেট ৪ দশমিক ২৩ শতাংশ, রংপুর ৩ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, ময়মনসিংহে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ।
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে হাসপাতালে ৩৯ জন এবং বাড়িতে ১৫ জন মারা গেছে।
ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৭৩ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্য থেকে তিন হাজার ২৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪৯১ জনের নমুনা সংগ্রহ হয়েছে।
অধ্যাপক নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় এক হাজার ৯৫৩ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত মোট ৭৮ হাজার ১০২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।
নাসিমা বলেন, গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত ১৪ এপ্রিল ৩৮তম দিনে করোনা রোগীর সংখ্যা এক হাজারে পৌঁছায়।