করোনায় আক্রান্ত নতুন ১৮ জন যে এলাকার বাসিন্দা
দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো একজন মারা গেছেন। যিনি মারা গেছেন তার বয়স ৫৫ বছর। তিনি নারায়ণগঞ্জের অধিবাসী। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়জন।
এ সময়ে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। বাংলাদেশে একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে।
আজ রোববার দুপুরে করোনাভাইরাস বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনলাইন ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ব্রিফ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল কালাম আজাদ। এতে অন্যদের মধ্যে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাও উপস্থিত ছিলেন।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আক্রান্তদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জন আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট ৮৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। সারা বাংলাদেশব্যাপী ১৪টি কেন্দ্রের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে ১৩ জন পেয়েছি আইইডিসিআরের মাধ্যমে। বাকি পাঁচজন ঢাকার বাইরের অন্য ল্যাবের নমুনা পরীক্ষার মাধ্যমে।’
এ ছাড়া এ সময়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তিনজন। এ নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৩৩ জন। এখন সংক্রমণ থাকাবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৬ জন। তার মধ্যে ৩২ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন; বাকি ১৪ জন বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাড়িতে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের উপসর্গ মৃদু এবং আমাদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরো বলেন, বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, আক্রান্ত ১৮ জনের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী রয়েছেন একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী মধ্যে রয়েছেন দুজন, ৪১ থেকে ৫৫ বছরের বয়সের মধ্যে রয়েছেন চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী আছেন ৯ জন। আর ৬০ বছরের বেশি এ সংখ্যা রয়েছেন দুজন।
এ ছাড়া ১৮ জনের মধ্যে পুরুষ আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন। নারী আক্রান্ত হয়েছেন তিনজন।
আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি ঢাকায় হয়েছে উল্লেখ করে আইইডিসিআর পরিচালক আরো বলেন, ১৮ জনের মধ্যে ১২ জনই ঢাকায়। নারায়ণগঞ্জে পাঁচজন এবং মাদারীপুরে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। মাদারীপুর এরমধ্যে ক্লাস্টারের তালিকায় ছিল। নারায়ণগঞ্জে মোট সংখ্যা ১১ জন। এজন্য নারায়ণগঞ্জের বিষয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণ রাখা হচ্ছে।
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, দেশে করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো একজন মারা গেছেন। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়জন। এ ছাড়া এ সময়ে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৮ জন। এ নিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৮ জনে। বাংলাদেশে একদিনে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের রেকর্ড হয়েছে। এ ছাড়া এ সময়ে সুস্থ হয়েছেন আরো তিনজন। বাসায় ফিরে গেছেন ৩৩ জন।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আপনারা যখন বাইরে যাবেন, তখন মাস্ক লাগিয়ে যাবেন। বাজার-ঘাটে, রাস্তাঘাটে ভিড় করবেন না। বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বলেছে, বেতন দেওয়ার পর তারা গার্মেন্টস বন্ধ রাখবে। হাসপাতালেও চিকিৎসাসেবা বাড়িয়েছি। পরীক্ষা কার্যক্রম উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি। পরীক্ষা যাঁরা করেন, তাঁরা ৩৬৭ জন পরীক্ষা করেছে।’
গার্মেন্টকর্মীদের গাড়ি চলাচল বন্ধের মধ্যেই ঢাকায় প্রবেশ করানো হলো, এ দায় কার? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয়। তবে এটি সঠিক হয়নি।’