করোনার মতো ডেঙ্গু মারাত্মক হলে পরিস্থিতি দুর্ভাগ্যজনক হবে
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডেঙ্গু এখন পর্যন্ত আতঙ্কিত হওয়ার মতো অবস্থায় আসেনি। এডিস মশা কিছুটা বেড়েছে এবং অল্প সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। করোনার পাশাপাশি ডেঙ্গু মারাত্মক রূপ নিলে আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
তাজুল ইসলাম আজ শনিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন আয়োজিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে মশকনিধনে চিরুনি অভিযানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ওয়াসা থেকে দুই সিটি করপোরেশনের নিকট খাল হস্তান্তর করার পর দীর্ঘসময় ধরে জলাবদ্ধ ও দখল থেকে মুক্তির মাধ্যমে সুফল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নগরবাসীকেও তাদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে হবে। শতভাগ সফলতার জন্য উভয়ের সম্মিলিত প্রচেষ্টা আবশ্যক।
তাজুল ইসলাম বলেন, নাগরিকরা যদি তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন না করে। সিটি করপোরেশন একক প্রচেষ্টায় সব সমস্যার সমাধান করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে পারবে না। আমরা নিজেরাই যদি অসচেতন হয়ে মশার প্রজনন করি তাহলে সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে কী করে সম্ভব মশামুক্ত নগর উপহার দেওয়া? তাই সবাই মিলে একত্রে কাজ না করলে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হবে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, মানুষ যদি নিজের বাড়ির আঙিনা, ফুলের টব, এয়ারকন্ডিশন বিশেষ করে নির্মাণাধীন বা পরিত্যক্ত ভবনের বেসমেন্ট, ছাদে পানি জমে না রাখে অথবা রাখলেও তিনদিন পর পর পরিষ্কার বা জমা পানিতে অল্প পরিমাণ কেরোসিন দেয় তাহলে এডিস মশা প্রজননের সম্ভাবনা থাকে না। কিন্তু নির্মাণাধীন ভবনে অনেকেই তাদের স্ব-স্ব দায়িত্ব পালন করে না।
তাজুল ইসলাম বলেন, উভয় সিটি করপোরেশনে ১০ জন করে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যেখানে জমে থাকা পানি পাবে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে। সরকারি-বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই ডেঙ্গু প্রজননে ভূমিকা রাখবে তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।