করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন নয় লক্ষাধিক মানুষ
দেশে এ পর্যন্ত নয় লক্ষাধিক মানুষ করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা নয় লাখ ৩০ হাজার ১৫১। এর মধ্যে পুরুষ ছয় লাখ ৩৭ হাজার ৪৫৬ এবং নারী দুই লাখ ৯২ হাজার ৬৯৫ জন।
এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৫ জন। এর মধ্যে ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৯৮৯ জন পুরুষ এবং নারী ২১ লাখ ৬২ হাজার ৮৯৬।
এ ছাড়া আজ বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭০ লাখ ৮৮ হাজার ৪৬৯ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে এক লাখ ৯৬ হাজার ৯৭৬ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৩৩ হাজার ৬৫৫ এবং নারী ৬৩ হাজার ৩২১ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১০ হাজার ৫৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ছয় হাজার ৮৯০ এবং নারী তিন হাজার ৬৮২ জন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন দুই লাখ ৭০ হাজার ৯৫৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে এক লাখ ৩৫ হাজার ২৩৫ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৭২ ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন আট লাখ ৯৪ হাজার ৫১৮ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৩১০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন দুই লাখ ৮২ হাজার ৯৯১ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন দুই লাখ সাত হাজার ২৭ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৫০ হাজার ৮৩৬ জন। রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৯৮ হাজার ৮০৮ জন, প্রথম ডোজ ছয় লাখ ৫১ হাজার ৪৭৫ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৯২ হাজার ৮১ জন, প্রথম ডোজ পাঁচ লাখ ৮৪ হাজার ২০৩ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ চার হাজার ৯৫৪ জন, প্রথম ডোজ সাত লাখ ১৬ হাজার ৫০২ জন। বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৩৭ হাজার ৬১৮ জন, প্রথম ডোজ দুই লাখ ৪৪ হাজার ৮০৬ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৭৩ হাজার ৩৯৮ জন, প্রথম ডোজ দুই লাখ ৯৫ হাজার ২০০ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।