‘করোনার চেয়েও চাকরি হারানোর ভয় বেশি’
‘করোনার ভয়ের চেয়েও চাকরি হারানোর ভয় বেশি। তাই বিপদ জেনেও বাড়ি থেকে বের হয়েছি। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাপুর থেকে নৌকায় করে এসেছি ভৈরবে। এখান থেকে আমাকে যে করেই হোক, গাজীপুরে পৌঁছাতে হবে। কাল (রোববার) থেকে আমার পোশাক কারখানা খোলা।’
গতকাল শনিবার এভাবেই কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গাড়ির জন্য অপেক্ষারত পোশাককর্মী জাহানারা এনটিভি অনলাইনকে নিজের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কথা জানান।
শুধু জাহানারা নন, কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা থেকে আসা পোশাককর্মী শিউলি, নবীনগরের আকবর মিয়া গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন ভৈরবের মহাসড়কে।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে সড়কপথে কর্মস্থলে ফিরতে পোশাককর্মীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। পাশের জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা এসব মানুষ পেটের তাগিদে তাঁদের কর্মস্থলে ফিরতে ভৈরবে এসেছেন। এখান থেকে ট্রাক, পিকআপে করে রওনা দিচ্ছেন গন্তব্যে।
অনেকে আবার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘাপটি মেরে বসেছিলেন। রাতের অন্ধকারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে যদি কোনো গণপরিবহন যাত্রা করে, সেই আশায়।
ঢাকায় কর্মস্থলে ফেরার অপেক্ষায় থাকা এসব মানুষ শনিবার জানিয়েছিলেন, পূর্বঘোষিত ছুটি শেষ হয়ে যাওয়ায় আজ রোববার থেকে তাঁদের কারখানা খুলছে। তাই রাতের মধ্যে তাঁদের যে করেই হোক, কর্মস্থলে পৌঁছাতে হবে। আর রোববার সকালে কাজে যোগ দিতে না পারলে অনেকেরই চাকরি চলে যাবে অথবা হাজিরা কাটা যাবে।
এদিকে বাংলাদেশে পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের (বিজিএমইএ) সভাপতি ড. রুবানা হক গতকাল বলেছিলেন, ‘তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তাঁদের মার্চ মাসের বেতন-ভাতা পাবেন। এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নাই।’