করোনাভাইরাস : ২০ বছরের কম বয়সী একজন আক্রান্ত, সুস্থ ৪
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আরো একজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৪৯ জনে। তবে এ সময়ে নতুন করে কেউ মারা যায়নি। এর ফলে টানা গত তিন দিনে কেউ এই ভাইরাসের কারণে প্রাণ হারায়নি।
বরং এই ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন আরো চারজন। এঁদের মধ্যে একজন চিকিৎসক ও দুজন নার্স রয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত মোট ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন।
আজ সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা করোনাভাইরাস নিয়ে নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান। অনলাইন ব্রিফিংয়ে একপর্যায়ে যুক্ত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক।
মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরো বলেন, ‘যিনি নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন, তিনি একজন নারী। তাঁর বয়স ২০ বছরের কম।’
আইইডিসিআর পরিচালক আরো বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ নিয়ে সর্বমোট এক হাজার ৩৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে মোট ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৮০ বছরের একজনসহ মোট ১৯ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় চারজন সুস্থ হয়েছেন।’
ব্রিফিংয়ের শুরুতে বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরেন ডা. মীরজাদী স্রেব্রিনা ফ্লোরা। তুলে ধরেন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে ঘরে থাকাসহ প্রয়োজনীয় করণীয়ও।
সবাইকে এ সময়ে বাড়িতে অবস্থান করার কথা জানিয়ে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, ‘সরকার যেভাবে স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বলেছে, আপনারা সেটি মেনে চলুন। আপনাদের কেউ অসুস্থ হলে বাড়ি থেকে আমাদের হটলাইনে যোগাযোগ করুন। হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা আমাদের টিমের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করব। তবে হটলাইনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন কথা সংক্ষেপে শেষ করার জন্য।’
‘হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার মেনে চলুন, সাবান দিয়ে হাত পরিষ্কার রাখুন,’ যোগ করেন পরিচালক।
এদিকে সারা বিশ্বে আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত করোনাভাইরাসে বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ১২২ জন, মোট আক্রান্ত সাত লাখ ২৭ হাজার ৬৫০, সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ৫৭ হাজার ১৭৪, চিকিৎসাধীন পাঁচ লাখ ৩৬ হাজার ৩৫৪ জন।
এর মধ্যে ইতালিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ হাজার ৭৭৯ জন। এ ছাড়া স্পেনে ছয় হাজার ৮০৩ জন, চীনে তিন হাজার ৩০০, যুক্তরাষ্ট্রে দুই হাজার ৫৪৫, ইরানে দুই হাজার ৬৪০, ফ্রান্সে দুই হাজার ৬০৬, যুক্তরাজ্যে এক হাজার ২২৮, নেদারল্যান্ডসে ৭৭১, বেলজিয়ামে ৪৩১, দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৫৮, তুরস্কে ১৩১, সুইডেনে ১১০, ইন্দোনেশিয়ায় ১১৪, কানাডায় ৬৪, মিসরে ৪০, ভারতে ২৭, পাকিস্তানে ১৫ ও সৌদি আরবে আটজনের মৃত্যু হয়েছে।