করোনাভাইরাসের প্রভাব পদ্মা সেতুতে পড়বে না : ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘চীনের করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের বহু আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে কোনো অসুবিধার সৃষ্টি হবে না। কাজ যথারীতি চলতে থাকবে। নির্ধারিত সময়েই এ সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হবে।’
আজ বুধবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বর্তমানে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজে এক হাজারের মতো চীনা নাগরিক কর্মরত আছেন। এদের মধ্যে দেড়শ জনের মতো পর্যায়ক্রমে ছুটিতে থাকেন। ছুটি কাটিয়ে ৩৫ জন এসেছেন। এদের ১৪ দিনের জন্য কাজের বাইরে রাখা হয়েছে। ১৪ দিন পর এদের কাজে যোগদান করানো হবে। পদ্মা সেতু নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই বলেও জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কেন্দ্র পাহারার নামে বিএনপি নেতাকর্মীরা নির্বাচনী পরিবেশ ভণ্ডুল করার চেষ্টা করবে। এ ধরনের তথ্যও আমাদের কাছে আছে। তাদের অতীত ইতিহাস এটাই বলে। নির্বাচন অবাধ, গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত হবে। এ ব্যাপারে সরকার নির্বাচন কমিশনকে শতভাগ সহায়তা করছে। এই নির্বাচন অতীতের নির্বাচনের চেয়ে উৎসবমুখর ও আনন্দঘন পরিবেশে হচ্ছে। নির্বাচন নিয়ে সবার মধ্যে একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে ৬৭ বিদেশি পর্যবেক্ষক এবং দেশের এক হাজার পর্যবেক্ষক থাকবেন। কাজেই নির্বাচনের পরিবেশ সুন্দর হবে বলেই আমরা আশা করছি।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি মোটেই ভঙ্গুর রাজনৈতিক দল নয়। দেশে তাদের যথেষ্ট সমর্থন ও প্রভাব রয়েছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতির একটি বিরোধী প্ল্যাটফর্ম হলো বিএনপি। তাদের ওপরও অনেকের আস্থা রয়েছে। কাজেই অতীতে তাদের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে আমি বলেছি, তারা যেকোনো ঘটনা ঘটাতে পারে। এজন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আমাদের অনুরোধ, তারা যেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে ব্যবস্থা নেয়।’
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে এজেন্টদের থাকতে দেওয়া হয়নি- বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এজেন্ট রাখতে না পারা তাদের ব্যর্থতা। তারা এজেন্ট রাখে নাই। তাদের এজেন্টরা কেন্দ্রে আসেনি। সরকার বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কারো এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাধা দেয়নি।’