করোনাভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ রোগের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক সংকট মেটাতে ইন্টার্নি চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠাবে ছাত্রলীগ। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা। আজ শনিবার  ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এমন পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ছাত্রলীগ একটা বিশাল পরিবার। করোনাভাইরাসের সংকটকালে সবখানেই চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। অনেক জায়গায় চিকিৎসক সংকট দেখা যাচ্ছে। এসব জায়গায় পাশে দাঁড়াতে চায় ছাত্রলীগ। এজন্য দেশের যেসব হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট রয়েছে সেখানে ইন্টার্নি ডাক্তার ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠানো হবে।

আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় রাজধানীর কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, কুর্মিটোলা হাসপাতাল, মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ছাত্রলীগের মেডিকেল ইউনিটগুলো থেকে প্রায় ২০ জন করে শিক্ষার্থীকে পাঠানো হবে।

ছাত্রলীগের সভাপতি বলেন, দেশের যেসব হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা হচ্ছে সেসব জায়গায় রোগীদের সেবায় ইন্টার্নি ডাক্তার ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঠাবে ছাত্রলীগ। এ জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে করোনা সংকটের শুরু থেকেই মাঠে নেমে কাজ শুরু করে ছাত্রলীগ। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শুরুতেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ ও মাইকিং করে জনসচেতনতা তৈরি করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

পরে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটিতে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের পাশে আর্থিক, খাদ্য সামগ্রীসহ নানা সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেন নেতাকর্মীরা। এরমধ্যে কৃষকের ধান কাটা শুরু হলে সারা দেশে মাঠে নেমে ধান কাটতে শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

এ ছাড়া রমজানের শুরু থেকেই ভ্রাম্যমাণ মানুষ ও হতদরিদ্রদের মধ্যে সেহরি ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে ছাত্রলীগ।