কমিটি ঘোষণা ও চাঁদাবাজির ঘটনায় খুন হন আল আমিন : ডিবি
রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তিতে আওয়ামী লীগের কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগকর্মী আল আমিন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য জানান।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, বস্তির প্রতিটি ঘর থেকে আট থেকে দশ হাজার টাকা ভাড়া তোলা হয়। ফ্রিজ ও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করার জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। এ সবকিছুই বস্তির দুটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে।
সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, এই বস্তির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর সেখানে খুনের ঘটনা ঘটে। আমরা আগের খুনের ঘটনাগুলো পুনরায় তদন্ত করে দেখব। যারই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে কারও রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে ডিবি জানায়, গত ৩০ জুলাই কড়াইল বস্তির এক নম্বর ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আবদুল কাদের খানের অনুসারী মোহাম্মদ আলী ও নুর গ্রুপের লোকজন গুরুত্বপূর্ণ পদ পান। অন্যদিকে, মফিজুর রহমানের অনুসারী জুয়েল ও রিপন গ্রুপের লোকজন কম গুরুত্বপূর্ণ পদ পান। এ কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করেই বস্তির এরশাদ মাঠ এবং নুরানি মসজিদ এলাকায় নুরু, কবির, আলীসহ কয়েকজনের সঙ্গে রিপন-জুয়েল-শুভদের মারামারির ঘটনায় আল আমিন নিহত হন। ঘটনাটি ঘটে গত ১৭ আগস্ট।
হারুন অর রশীদ জানিয়েছেন, বনানী থানার ১৯ ও ২০ নং ওয়ার্ড নিয়ে কড়াইল বস্তি গঠিত। বস্তিটি গড়ে উঠেছে টিঅ্যান্ডটি, রাজউক ও পিডব্লিউডির সরকারি জায়গায়। ওই দিনের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ১০ জন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং আরো অনেকে আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। আলামিন হত্যার ঘটনায় বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের হলে ডিবি গুলশান বিভাগ ছায়া তদন্ত শুরু করে। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা এখন ডিবির রিমান্ডে রয়েছে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। তবে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা এ ঘটনায় তাদের দায় স্বীকার করেছেন।