কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকে ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে। দেশের নিরাপদ মাতৃত্ব, শিশু মৃত্যুহার ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনতে গ্রামগঞ্জেও ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিকল্প নেই।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশের স্যানিটেশন ব্যবস্থা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিটিতে ন্যূনতম দুটি করে ব্যবহারযোগ্য টয়লেট প্রদান করা হয়েছে। এগুলোতে মহিলা ও পুরুষদের জন্য আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। পরিচ্ছন্ন কর্মীর ঘাটতি থাকায় সব ক্লিনিকে সমানভাবে পরিচ্ছন্নতা হয়তো নেই। তবে দ্রুতই পর্যাপ্ত পরিচ্ছন্নকর্মী নিয়োগ দেওয়া হবে এবং তখন টয়লেটের অপরিচ্ছতাও দূর হবে।
মন্ত্রী আরো জানান, দেশে বর্তমানে ৭২ ভাগ সরকারি হাসপাতালে উন্নত ও পরিচ্ছন্ন টয়লেট ব্যবস্থা রয়েছে। অবশিষ্ট ২৮ ভাগ টয়লেটের আধুনিকায়ন ও পরিচ্ছন্ন করার উদ্যোগও আমরা হাতে নিয়েছি। এ বছরই বাকি ২৮ ভাগ টয়লেট পরিচ্ছন্ন হবে বলে আশা করছি।
সভায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ১৯৯০ সালের দিকে গ্রামের মানুষ খোলা জায়গায় পয়:নিস্কাশন করতো। বর্তমান সময়ে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ কেবল টয়লেটই চায় না বরং আধুনিক টয়লেটের দিকে মানুষ ঝুঁকে গেছে। মানুষের চাহিদা ও মননশীলতায় বর্তমানে অনেক পরিবর্তন এসেছে।
আলোচনায় আরো অংশ নেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের জাতীয় পরামর্শক পলিসি সাপোর্টের মনিরুজ্জামান, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ এর গবেষণা, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়নের বিভাগীয় প্রধান মো. আহসান হাবিব, ইউনিসেফ বাংলাদেশের ওয়াশ স্পেশালিস্ট মাহজাবিন আহমেদ, সিমাভির কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর অলোক মজুমদার, ইউএসটির নির্বাহী পরিচালক শাহ মো. আনোয়ার কামাল, ইউনিসেফের ড. মাহফুজার রহমান, ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন অব দ্যা রুরাল পুওরের পরিচালক মোহাম্মদ জোবায়ের হাসান, ব্র্যাকের মো. জিল্লুর রহমান প্রমুখ।