কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে অবৈধ স্থাপনা ধ্বংসে রুল
পরিবেশগত ছাড়পত্র ও স্যুয়ারেজ প্ল্যান্ট ছাড়া কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা ধ্বংস ও অপসারণে নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না—জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বাংলাদেশ পরিবেশবিদ আইনজীবী সমিতির এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন মিনহাজুল হক চৌধুরী। তাঁকে সহযোগিতা করেন সাঈদ আহমেদ কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
পরে সাঈদ আহমেদ কবির জানান, কক্সবাজার জেলার সদর, মহেশখালী, টেকনাফ, রামু, চকরিয়া, উখিয়া ও পেকুয়া উপজেলায় উন্নয়নবহির্ভূত ও সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত পাহাড়, টিলা ও বনাঞ্চল দখল থেকে রক্ষায় বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
একই সঙ্গে ১২০ কিলোমিটার সমুদ্রসৈকতের অবৈধ দখল, নির্মাণ, বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দূষণ, পৌরবর্জ্য ও ওয়ান টাইম ইউজ প্লাস্টিকের যত্রতত্র ফেলা বন্ধ করতে বিবাদীদের ব্যর্থতাকে কেন বৈআইনি ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
আগামী তিন মাসের মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, পরিবেশ সচিব, বিমান ও পর্যটন সচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, পানিসম্পদ সচিবসহ ২২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে কক্সবাজারের সাতটি উপজেলায় অবৈধ হোটেল-মোটেল নির্মাণ ও পরিবেশদূষণ নিয়ে জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন সংযুক্ত করে সম্প্রতি হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।