কক্সবাজার যাওয়ার পথে লাশ হয়ে ফিরলেন মাদ্রাসাছাত্র
বন্ধুদের নিয়ে কক্সবাজারে বেড়াতে যাচ্ছিলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা গ্রামের রুবেল মিয়া তালুকদার (২০)। তিনি ওই গ্রামের পশ্চিম তালুকদার বাড়ির ফটিক মিয়া তালুকদারের ছেলে। পড়তেন স্থানীয় শানখলা মাদ্রাসায়।
কিন্তু কক্সবাজার আর যাওয়া হয়নি রুবেলের। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এবং সিলেট থেকে ছেড়ে আসা চট্টগ্রাম অভিমুখী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষে যে ১৬ জন নিহত হয়েছে তাদের একজন রুবেল। রুবেলরা ট্রেনে করে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার যেতে চেয়েছিলেন।
এদিকে ট্রেন দুর্ঘটনায় রুবেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারসহ পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
চুনারুঘাটের উবাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. রজব আলী জানান, রুবেলসহ একই এলাকার চার বন্ধু সোমবার দিবাগত রাতে শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশন থেকে উদয়ন এক্সপ্রেসে করে কক্সবাজারে বেড়ানোর উদ্দেশে রওনা হন। পথে কসবায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান রুবেল। বাকি চার বন্ধুর মধ্যে একজন গুরুতর আহত এবং বাকিরা অক্ষত রয়েছেন। তবে তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিহত রুবেলের চাচাতো ভাই ফুল মিয়া বলেন, স্থানীয় শানখলা মাদ্রাসার দাখিল পড়ুয়া ছাত্র ছিলেন রুবেল। চার বন্ধু মিলে কক্সবাজার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে লাশ হয়ে ফিরতে হলে তাঁকে।
ফুল মিয়া জানান, খবর পেয়ে বেলা ১১টায় সময় তাঁরা লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরেন। শোকে কাতর রুবেলের মা বার বার মূর্ছা যাচ্ছেন। পুত্রবিয়োগের শোকে তিনিও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এদিকে দুপুর ২টায় জানাজা শেষে রুবেলকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ এলাকায় ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত রুবেল মিয়া তালুকদার। ছবি : সংগৃহীত