কক্সবাজারে হু হু করে বাড়ছে করোনা রোগী
কক্সবাজার জেলায় হু হু করে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জেলা প্রশাসন আর স্বাস্থ্য বিভাগের নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েও করোনার সংক্রমণ রোধ করতে পারছে না। জেলায় এরই মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেড় হাজার ছাড়িয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৭ জন। করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ রোধে প্রশাসন কক্সবাজার শহরসহ জেলার চকরিয়া, উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলাকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউনের আওতায় এনেছে। আজ এসব এলাকায় দশম দিনের মতো লকডাউন চলছে। আগামী ২০ জুন পর্যন্ত এই লকডাউন কার্যকর থাকবে। প্রয়োজনে এই লকডাউনের মেয়াদ আরো বাড়ানো হবে বলে জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানিয়েছেন।
কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান তাঁর সরকারি অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে দেওয়া তথ্যে জানিয়েছেন, গতকাল রোববার পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় করোনা রোগের নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ হয়েছে এক হাজার ৫১৫ জন। এসব রোগীর মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন হাসপাতাল এবং হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ৩৭০ জন। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে তিনজন রোহিঙ্গাসহ মোট ২৭ জন। মোট আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে রোহিঙ্গা রয়েছে ৩৮ জন।
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, জেলায় আক্রান্তের হার সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি। সদর উপজেলায় রেকর্ড ৬৮৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আবার এ আক্রান্তদের মধ্যে সিংহভাগই কক্সবাজার শহরের বাসিন্দা। এ ছাড়া চকরিয়া উপজেলায় ২৪৯ জন, উখিয়া উপজেলায় ১৯২ জন এবং রামু উপজেলায় ১১৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর পরে পেকুয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায় করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গতকাল রোববার কক্সবাজার জেলায় সর্বশেষ ৭০ জন নতুন করোনা রোগী পাওয়া গেছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে রোববার ৪৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় মোট ৭৬ জনের মধ্যে করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে একজন ফলোআপ রোগীর নমুনা রয়েছে। এ ছাড়া একজন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা এবং চারজন বান্দরবান জেলার বাসিন্দা।
কক্সবাজার জেলার নতুন ৭০ জন রোগীর মধ্যে ৫৪ জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। তবে কক্সবাজার শহরেই সিংহভাগ আক্রান্ত হচ্ছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. অনুপম বড়ুয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।